বার্তা নিউজ/ ১৩ আগষ্ট ২০১৬ /  বন্দরে তুচ্ছ ও হাতাহাতি ধস্তাধস্তির ঘটনাকে পুজি করে পূর্ব শত্রুতা হাসিলে মুছাপুর ইউপি সদস্য কলোনীর আমিনুল আদালতে বিচারধীন তার এক মামলার স্বাক্ষী ও বাদির পরিবারকে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ফাঁসাতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযোগের পেক্ষিতে বৃহস্পতিবার  পুলিৃশের ঘটনাস্থল তদন্তে অভিযোগটি মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন প্রমানিত হয়। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম  ক্ষোভ বিরাজ করছে। অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) আহসানউল্লাহ চৌধুরী জানান, উপজেলা ধামগড় ইউপির কামতাল গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে ফারুকের সঙ্গে একই উপজেলা মুছাপুর ইউপির চিড়ইপাড়া( কলোনি) এলাকার আমিনউদ্দিনের ছেলে রাসেল মিয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৬ আগষ্ট বিকালে কামতাল এলাকায় অবস্থিত টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টে  হোসেনের দোকানের সামনে হাতাহাতি ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ফারুকসহ ৩ জন অভিযুক্ত করে রাসেল মিয়ার পিতা আমিনউদ্দিন বাদি হয়ে বন্দর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।  ঘটনাস্থলে তদন্তে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি কিলঘুষি ঘটনা ছাড়া অন্য কিছু বাদি প্রমান করতে ব্যর্থ হয়েছে। অভিযুক্ত বাকি দুই জন ওই  ঘটনায় জড়িত নয়। অন্য কোন উদ্দেশ্যে ওই দুই জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ফারুক জানান, লাঙ্গলবন্দ কলোনিপাড়া এলাকার কাউছার নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার স্ত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় কামতাল তদন্ত কেন্দ্রর সহকারী এএসআই আমিরুল সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে গত ৫ আগষ্ট বিকালে ঘটনাস্থলে যান। এসময় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিতি ওই এলাকার আমিনউদ্দিনের বড় ছেলে মাদকসেবী সেলিম উশৃঙ্খল কথাবার্তা  বলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে। পরে ওই মাদক সেবীকে মজলিস থেকে উঠে যেতে বললেই সে চওড়া উঠে। এর মধ্যেই এ বিষয়টি দুইজনের মধ্যে মিমাংশা করে দেয়া হয়।  পরদিন ৬ আগষ্ট  বিকালে রাসেল আমার বাড়িতে গিয়ে আমাকে আমিনুলের মামলার স্বাক্ষী দিতে আদালতে যাইতে নিষেধ করে বিভিন্ন হুমকি দমকি দিচ্ছে। এসময় আমি রাসের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়ে তাকে আটক করার চেষ্টা করি। এসময় উপস্থিত লোকজন দুই জনকে ছাড়িয়ে দেয়।  এলাকাবাসী জানান, লাঙ্গলবন্দ চিড়ইপাড়া কলোনির আব্দুল খালেক মিয়ার ছেলে আমিনুলের নেতৃত্বে  ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারী রাতে একই এলাকার মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে রাসেল আহম্মেদ টিটুকে হত্যার উদ্দের্শে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় টিটুর মা- রাসেদা বেগম বাদি হয়ে আমিনুলকে প্রধান আসামী করে  থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ২৫, তারিখ-২৪-০১২০১৫ইং।  এ মামলায় আমিনুল পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দীর্ঘ দিন জেলহাজত থেকে জামিনে বের হয়ে বাদির  পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করে আসছে। বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে বলে আমিনুল বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।  আমিনুলের ওই মামলার প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী ফারুক। ফারুকের সঙ্গে রাসেল মিয়ার তুচ্ছ ঘটনাকে পুঁজি করে আমিনুলে পূর্ব শত্রুতার ধরে রাসেল মিয়ার বাবা আমিনউদ্দিনকে বাদি করে ফারুকসহ আমিনুলের মামলার বাদির মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে অভিযুক্ত করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন।  


Post a Comment

Disqus