বার্তা প্রতিনিধি / ২৮ সেপ্টেম্বও ২০১৬ /  বন্দরে পরকীয়া বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের পর ১৪ মাস বয়সের এক শিশু কন্যাকে গলাটিপে হত্যা করেছে পাষন্ড পিতা। গতকাল বুধবার ভোরে পিচকামতাল গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। পুলিশ শিশু কন্যা নুসরাত জাহান নুরীর লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে। 
এলাকাবাসী জানান, উপজেলার মুছাপুর ইউপির পিচকামতাল গ্রামের শাহজালাল মিয়ার ছেলে নাজমুল মিয়ার সঙ্গে ৮ বছর আগে একই গ্রামের মৃত আলী মিয়া মুন্সীর মেয়ে মুসলিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ে পর তাদের সংসারে নুরতাজ(৫) ও নুসরাত জাহান নুরী (১৪ মাস) দুইটি কন্যা সন্তান জম্ম হয়। ছোট মেয়ে নুসরাত জাহান নুরী জম্ম হওয়ার পর থেকে নাজমুল পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দিতে গিয়ে মুসলিমার   সংসার চলে আসে কলহ ও স্বামী-স্ত্রীর ঝগরা ঝাটি নিত্যদিনের সঙ্গী। পরকীয়া প্রেমিককে গোপনে বিয়ে করে রূপগঞ্জ বরপা এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে বসবাস করতো নাজমুল। এ খবর পেয়ে মুসলিমা আক্তার দুই শিশু কন্যাকে সঙ্গে নিয়ে বরপা থেকে গত মঙ্গলবার বিকালে নাজমুলকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে রাত ভর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তুমুল ঝগরাঝাটি সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গতকাল বুধবার ভোর ৫ টার দিকে নাজমুল ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে মারধর করে ঘুমন্ত শিশু কন্যা নুরসাত জাহান নুরীকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। 
নিহত শিশুর মা মুসলিমা আক্তার জানান, দুই শিশু কন্যাকে ফেলে রেখে স্বামী নাজমুল গোপনে বিয়ে করে অন্যত্র বসবাস করেছে। ওখান থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করে ঘুমন্ত শিশুকে হত্যা করে। এসময় আমি ডাক-চিৎকার করলে পাশ্বের বাড়ির লোকজন ও আমার মা বাড়ি থেকে ছুটে এসে ঘাতককে ধরার চেষ্টা করলে সে আমার মাকেও মারধর করে ও  হাত ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ আসার খবর পেয়ে আমার শশুর ও শাশুরীও বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।   
বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল কালাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশু কন্যার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। নিহত শিশুর মা মুসলিমা বাদি হয়ে মামলা করেছে মামলা নং ৬১(৯)১৬। ঘটনার পর থেকে বাবা ও দাদা-দাদিসহ বাড়ির সবাই পালিয়ে গেছে। গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


Post a Comment

Disqus