বার্তা নিউজ / ২৯ নভেম্বর ২০১৬ /  আসন্ন নাসিক র্নিবাচনের আর মাত্র ২৫ দিন বাকি। র্নিবাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসচ্ছে ভোটারদের মাঝে উৎসব আমেজ তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রার্থীদের প্রচার প্রচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে বন্দরের ৯টি ওয়ার্ড। আগ্রহি কাউন্সিলর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে কোমড় বেধে নেমে পরেছে ভোট ভিক্ষার জন্য।
২৫ নং ওয়ার্ডঃ নাসিক র্নিবাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ২৫নং ওয়ার্ড থেকে ৫ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এরা হলেন দক্ষিন লক্ষনখোলা এলাকার মরহুম আব্দুল সাত্তার বেপারী ছেলে কাউন্সিলর প্রার্থী এনায়েত, উত্তর লক্ষন খোলা এলাকার মৃত আব্দুল হাই মিয়ার ছেলে মোশারফ ও লক্ষন খোলা এলাকার মৃত আব্দুল বারেক মিয়ার ছেলে সাইদুর রহমান লিটন, মোঃ হেলালউদ্দিন ও মোঃ সালাউদ্দিন, । বিভিন্ন সূেেত্র জানা গেছে, এটি এক সময় কদম রসুল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে অন্তঃভূক্ত ছিল। নাসিক গঠনের মাধ্যমে কদম রসুল পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডটি বিলুপ্ত করে বন্দরের লক্ষণখোলা রোড ১ম,২য় এবং ৩য় অংশ, উত্তর ও দক্ষিণ লক্ষণখোলা, দেওলী চৌরাপাড়া, চৌরাপাড়া এবং দাসের গাঁও এলাকা নিয়ে ২৫নং ওয়ার্ড গঠিত।  এ ওয়ার্ডে জনসংখ্যা হল প্রায় ৪০ হাজার এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা হল ৯ হাজার ৩’শ ২১ জন  । এ ওয়ার্ডে অবস্থিত রয়েছে সোহাগপুর টেক্সটাইল মিল, অক্্িরজেন কোম্পানী, ১০/১৫টি তুলার কারখানা, মসজিদ ১১টি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২টি, হাইস্কুল ১টি, খেয়াঘাট ২টিসহ ছোটবড় নানা রকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  রয়েছে। এ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা জানিয়েছে, র্নিবাচিত হয়ে এ ওয়ার্ড থেকে চিরতরে মাদক মুক্তসহ নাগরিক সুযোগ সুবিদা সহ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য কাজ করব। গত নাসিক নির্বাচনে বিএনপি নেতা এনায়েত হোসেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পদে নির্বাচিত হয়।
২৬ নং ওয়ার্ডঃ নাসিক র্নিবাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ২৬নং ওয়ার্ড থেকে ৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এরা হলেন বন্দর থানার সোনাচড়া এলাকার মরহুম আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে শ্রমিকলীগ নেতা মোজাম্মেল ও রামনগর এলাকার সিদ্দিক মাষ্টারের ছেলে সামছুজোহা। এ ওয়ার্ডটি এক সময় কদম রসুল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে অন্তঃভূক্ত ছিল। নাসিক গঠনের মাধ্যমে কদম রসুল পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডটি বিলুপ্ত করে বন্দরের কুটির বন্ধ, কুড়িপাড়া, রামনগর, সোনাছড়া, সোনাছড়া বাগ, লক্ষণখোলা রোড চতুর্থ অংশ, ইস্পহানী ডক ইয়ার্ড এলাকা নিয়ে ২৬নং ওয়ার্ড গঠিত।। এ ওয়ার্ডে আর অবস্থিত রয়েছে ৬টি মসজিদ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১টি, স্কুল এন্ড কলেজ ১টি, খেয়াঘাট ২টিসহ ছোটবড় নানা রকমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান  রয়েছে। এ ওয়ার্ডের মোট জনসংখ্যা হলো প্রায় ১৬ হাজার এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা হলো প্রায় ৫ হাজার। নাসিক গঠনের পর ২৬নং ওয়ার্ডে প্রথম কাউন্সিলার পদে নির্বাচনে  অংশ নেয় ১২ জন প্রার্থী । নাসিক নির্বাচনে আওয়ামীলীগ নেতা আনোয়ার হোসেন আনু  বিপুল ভোটের ব্যবধানে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার পদে নির্বাচিত হয়। এবার তিনি অংশ গ্রহন করেনি। তবে তার বড় ভাই বন্দর থানা শ্রমিকলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হক র্নিবাচনে অংশ গ্রহন করেছে। এ ওয়ার্ডের ২ কাউন্সিলর প্রার্থী বিজয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
২৭ নং ওয়ার্ডঃ নাসিক র্নিবাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ২৭নং ওয়ার্ড থেকে ৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। এরা হলেন কুড়িপাড়া এলাকার মরহুম আব্দুল সাত্তার মিয়ার ছেলে কাউন্সিলর প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম, একই এলাকার মরহুম জামাল মিয়ার ছেলে কামরুল জামান বাবুল ও তার ছোট ভাই আসাদুজ্জামান বাদল, চাপাতলী এলাকার আলী আহাম্মদ চৌধূরীর ছেলে ইমরান চৌধূরী মিঠু, মুরাদপুর এলাকার হাজী ধনু মিয়ার ছেলে শেখ আলমগীর ও।  এটি এক সময় কদম রসুল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে অন্তঃভূক্ত ছিল। ১৮৭৬  নাসিক গঠনের মাধ্যমে কদম রসুল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডটি বিলুপ্ত করে বন্দরের চাপাতলী, লালখার বাগ, কুড়িপাড়া, নাজিরগঞ্জ, বঙ্গ শাসন, মুরাদপুর, সাহেনশারবাগ, হরিপুর এবং পশ্চিম ফুলহর এলাকা নিয়ে নাসিক ২৭নং ওয়ার্ড গঠিত। এটি ঢাকা-চট্টগাম মহাসড়কের একে বারে কাছে অবস্থিত। ওয়ার্ডটি নানা কারণে গুরুত্ববহ।  এ ওয়ার্ডে মোট জনসংখ্যা হল প্রায় ২৫ হাজার এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা হল ৯ হাজার ২’শ ৫১ জন। এ ওয়ার্ডে অবস্থিত রয়েছে, বন্দর পাটেক্স বোর্ড, বন্দর ষ্টিল মিল, হরিপুর বিদুৎত কেন্দ্র, ১৫টি মসজিদ, ১টি সরকারি ব্যাংক, ৩০ টি তুলার মিল, ১টি উচ্চ বিদ্যালয়, ৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি খেলার মাঠ, ২টি বিশাল র্মাকেট এবং ৫/৭টি ছোট বড় হাটবাজর। র্নিবাচনে অংশ গ্রহনকারি কাউন্সিলর প্রার্থীরা র্নিবাচনে জয়যুক্ত হতে প্রতিদিন বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় ব্যাপক ভাবে প্রচারনা চালাচ্ছে।


Post a Comment

Disqus