দীন ইসলাম অনিক / ২০ অক্টোবর ২০১৬ / -নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার মদনপুর কেওঢালা এলাকায় জামাল উদ্দীন টেক্সটাইল মিলের পাশে অবস্থিত মহিউদ্দীন পেপার মিলের  দূষিত পানি কোন রকম প্রক্রিয়া করন(ইটিপি) ছাড়াই সরাসরি পাইপের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী খালে ফেলে পুকুর খাল বিলের পানি দূষন করছে।অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,মহিউদ্দীন পেপার মিলের দূষিত পানি খালে পরার কারনে আসে পাশের সমস্ত মাছ চাষের পুকুর মাছ শুন্য হয়ে পরেছে এবং ফসলি জমিগুলো বছরের পর বছর অনাবাদী হয়ে পরে আছে।বাহির থেকে দেখলে বুঝার কোন উপায় নেই যে এই কারখানার ভিতরে কী তৈরী হচ্ছে,কারন কারখানার প্রধান ফটকে কোন সাইন বোর্ড কিংবা নেইম প্লেট লাগানো নেই।স্থানীয় এলাকাবাসী সাংবাদিকদের জানান,প্রায় ৭/৮ বছর ধরে মহিউদ্দীন পেপার মিলের দূষিত পানি ও বিষাক্ত ধোয়ার কারনে আমাদের পুকুর,খাল বিলের পানি বিষাক্ত হয়ে গেছে,আমাদের ফসলি জমিতে আমরা এখন আর ফসল ফলাতে পারি না।আমাদের  বাড়ীতে যে সকল ফলের গাছ আছে সেই সমস্ত ফলজ গাছ গুলো ফলশুন্য হয়ে মরে যাচ্ছে,এমনকি বছরে দুই বার আমাদের ঘরের চালের টিন বদলাতে হয়,কারণ পেপার মিলের বিষাক্ত ধোয়া টিন নষ্ট করে ফেলে।এই পেপার মিলের দূষিত পানির দূর্গন্ধ ও বিষাক্ত ধোয়ার কারনে প্রায় সময় আমাদের শিশুরা অশুস্থ্য হয়ে পরে যার কারণে বাড়ীতে বসবাস করা দায় হয়ে পরেছে।মহিউদ্দীন পেপার মিলের বিষাক্ত পানি ইটিপি ছাড়া খালের পানিতে ছাড়ার ফলে এই খাল দিয়ে পশ্চিম দিকের শীতলক্ষ্যা নদী ও পূর্ব দিকের ব্রম্রপূত্র নদীর পানি দূষন করছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনক এলাকাবাসী বলেন"এই পেপার মিলের পানি দূষন বন্ধের জন্য মালিক পক্ষের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা এড়িয়ে যান,স্থানীয় জনপ্রতিনিধির কাছে এই সমস্যা নিয়ে কথা বলার পর তিনি মামলার ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেন,আমাদের সকলের এই নিরবতা, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় কোন রকম ইটিপি ব্যবহার না করে বীরদর্পে পানি দূষন করে যাচ্ছে মহিউদ্দীন পেপার মিল।এ বিষয়ে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলতে কারখানার ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে ম্যানেজার সাইফুল ইসলামের নির্দেশে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এমতাবস্থায় এই বিষাক্ত পেপার মিলের ছোবল থেকে রক্ষা পেতে এবং নদী দূষন সহ এই এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় যথাযথ প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমানের সুদৃষ্টি কামনা করছে মদনপুর কেওঢালা বাসী।

Post a Comment

Disqus